আমার চোখে জিম মরিসন

আমাদের এই কম এটেনশন স্প্যান এর যুগে এই লোকটা আমার মনে কেমনে জানি আটকে গেছে। এই ব্যাক্তির নাম জিম মরিসন, আমার মনেহয় ওনার পরিচিতি দেয়ার কোন দরকার নেই! হার্ডকোর মিউজিক ফ্যানরা এই মানুষ কে না চিনার কথা-ই না।
এই লোককে দ্যি ডোরস ব্যান্ড এর গায়ক, গীতিকার, লেখক অথবা প্রানই বলা যায়। তার সৃষ্টিগুলা বড়ই অদ্ভুত তবে সুন্দর। অদ্ভুত-সুন্দর শব্দটা মনেহয় জিম এর গানের জন্যই তৈরী হইছে।

একবার এক সাক্ষাতকারে জিম বলেছিলেন যে " আমি যখন গাই তখন আমি ক্যারাক্টার তৈরী করি "। বুঝাই যাচ্ছে যে তার গানে তার কল্পনা বা ফ্যান্টাসি কাজ করতো।
জিম এর গানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে তার দেখা একটা সড়ক দূর্ঘটনা। যেই দূর্ঘটনায় মারা যায় দুইজন রেড ইন্ডিয়ান। তার বয়স তখন অনেক কম ছিল। সেই থেকেই তার গানের মধ্যে সেই রেড ইন্ডিয়ানদের মধ্যে একজনকে রুপক হিসেবে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। সে ভাবতো ঐ লোক ছিলেন একজন সেমান। সেমানদের বলা হয়ে থাকে রেড ইন্ডিয়ানদের একধরনের আধ্যাত্মিক লোক, যারা মানুষের মনে প্রবেশ করতে পারে! যেমন দ্যি ডোরস এর এই গানটাঃ
Shaman's Blues ___
There will never be
Another one like you
There will never be
Another one who can
Do the things you do, oh
এই ফ্যান্টাসি কে আরো উস্কে দিয়েছিলো তার ফিলোসফির প্রতি অধিক আগ্রহ। সবার মধ্যে তার প্রিয় ছিল" ফ্রেডরিক নিছাহ্" (Friedrich Nietzsche)। যিনি আমারও অনেক প্রিয় একজন ফিলোসোফার ( থাংকস টু জিম 😌)
এতো কথা বলার একটাই কারন হচ্ছে জিম মরিসন আমাকে পৃথিবীকে অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। যা দেখি, যা শুনি, যা অনুভব করি তার বাইরেও কি কিছু থাকতে পারেনা? এই চিন্তাটা আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে বলা যায়। এই কারনেই হয়তো প্রকৃতিগতভাবে পাওয়া বেঁচে থাকার তাগিদের বাইরেও চিন্তা করতে পারি।
আর্ট ফরমটা এমনই, কিছু স্পষ্টভাবে বুঝা না গেলেও একটা ডিপ মিনিং থেকে যায় সবসময়।

Comments

Popular posts from this blog

A note to myself

কোন অর্জন লুকিয়ে রাখার মত বিষয় না